কয়েক বছর আগে শুধু কাগজ-কলমে নোট নিতাম—যদিও মাঝেমাঝে চায়ের কাপের সঙ্গে গোটা নোটবুকই উলটে যেত! এখনতো সপ্তাহে কমপক্ষে সাত-আটটা AI টুলে দিন যায়। NotebookLM-কে ছাড়া এখন আর চলেই না, বিশেষত জরুরি কোনো রিপোর্ট কিংবা গবেষণা প্রেজেন্টেশনের সময়। আজ নিজের অভিজ্ঞতা, কিছু পছন্দের টুল, এবং অদ্ভুত কিছু টিপস শেয়ার করছি—সঙ্গে একটু ব্যক্তিগত আড্ডা ও ভুলভাল গল্পও থাকল। আপনি যদি নিজের কাজে টুইস্ট আনতে চান, এই লেখা মিস করবেন না!
NotebookLM: AI সহায়ক বা রিসার্চ পার্টনার?
গবেষণা ও নোট নেওয়ার জন্য NotebookLM আমার কাছে সত্যিকারের হিরো। NotebookLM overview বলতে গেলে, এটি একটি AI-powered research tool এবং AI learning assistant, যা আমার রিসার্চ ও লার্নিং প্রসেসকে একদম নতুন মাত্রা দিয়েছে। বিশেষ করে, যখন আমার সামনে বিশাল তথ্যের পাহাড়—PDF, Google Docs, ভিডিও—সবকিছু থেকে দ্রুত সংক্ষেপ ও ইনসাইট দরকার হয়, তখন NotebookLM-এর গুরুত্ব আরও বেশি বোঝা যায়।
Google Workspace-এর সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন: সবকিছু এক জায়গায়
NotebookLM-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি Google Workspace—বিশেষ করে Google Docs-এর সঙ্গে সরাসরি ইন্টিগ্রেটেড। ফলে, আমি যখন Google Gemini-এর deep research ফিচার দিয়ে বিশাল রিপোর্ট তৈরি করি, তখন সেটি সহজেই Google Docs-এ এক্সপোর্ট করতে পারি। এরপর সেই ডকুমেন্ট সরাসরি NotebookLM-এ সোর্স হিসেবে যোগ করা যায়। কোনো কপি-পেস্টের ঝামেলা নেই, একদম seamless ট্রান্সফার।
একসাথে ৩০০ সোর্স: গবেষণার জন্য সেন্ট্রাল হাব
NotebookLM-এ একসাথে ৩০০টি সোর্স যোগ করার সুবিধা আছে। অর্থাৎ, আমি চাইলে বিভিন্ন রিপোর্ট, আর্টিকেল, নোট, এমনকি ভিডিও ট্রান্সক্রিপ্টও একসাথে রাখতে পারি। এতে করে, একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা বা প্রেজেন্টেশনের জন্য আমার সব তথ্য এক জায়গায় থাকে।
- PDF, Google Docs, ভিডিও থেকে ইনসাইট
- ৩০০ সোর্স পর্যন্ত সংযুক্তি
- কাস্টম নোট ও ব্রিফিং ডক তৈরি
- ইন্টার্যাক্টিভ কুইজ ও ফ্ল্যাশকার্ড
- অডিও ওভারভিউ ও ইনফোগ্রাফিকস
ব্রিফিং ডক: বিশাল রিপোর্ট, দুই পাতায় সংক্ষেপ
আমার সবচেয়ে পছন্দের ফিচার Briefing Doc। ধরুন, Google Gemini দিয়ে আমি ২৯-পৃষ্ঠার বিশাল রিপোর্ট তৈরি করলাম। NotebookLM-এ সেই রিপোর্ট সোর্স হিসেবে যোগ করে মাত্র এক ক্লিকে Briefing Doc তৈরি করা যায়। এটি পুরো রিপোর্টকে দুই পাতার মধ্যে সংক্ষেপ করে দেয়, যাতে মূল পয়েন্টগুলো দ্রুত বুঝে নেওয়া যায়।
"একটা টপিক নিয়ে ঘাঁটতে ফেব্রুয়ারি মাসে ২৪ ঘন্টা গিয়েছিল, NotebookLM সেই কাজ ২০ মিনিটে সারিয়ে দেয়"
এই ফিচার সত্যিই সময় বাঁচায়। আগে যেখানে এক টপিক নিয়ে দিন-রাত পড়তে হতো, এখন ২০ মিনিটেই মূল ইনসাইট পেয়ে যাই।
অডিও ওভারভিউ, কুইজ, ও ফ্ল্যাশকার্ড: শেখার নতুন উপায়
NotebookLM features শুধু ব্রিফিং ডকেই সীমাবদ্ধ নয়। এখানে অডিও ওভারভিউ ফিচার আছে, যেখানে মূল পয়েন্টগুলো অডিও আকারে শোনা যায়। আবার, ইন্টার্যাক্টিভ কুইজ ও ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করা যায়, যা শেখার জন্য দারুণ কার্যকর। আমি যখন কোনো টপিক নিয়ে গভীরভাবে জানতে চাই, তখন এই কুইজ ও ফ্ল্যাশকার্ড আমাকে দ্রুত রিভিশন ও রিকল করতে সাহায্য করে।
সোর্স-ভিত্তিক উত্তর ও কম 'হ্যালুসিনেশন' ঝুঁকি
NotebookLM-এর আরেকটি বড় সুবিধা হলো, এটি source-based answer দেয়। অর্থাৎ, আমার যোগ করা সোর্স থেকেই উত্তর তৈরি করে, বাইরের তথ্য বা ভুল ইনফরমেশন কম আসে। ফলে, AI hallucination—অর্থাৎ ভুল তথ্যের ঝুঁকি অনেক কম। দীর্ঘমেয়াদি রিসার্চ বা একাডেমিক কাজে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইনফোগ্রাফিকস ও কাস্টম রিপোর্ট: এক ক্লিকে ভিজ্যুয়ালাইজেশন
আরও একটি দারুণ ফিচার হলো, ইনফোগ্রাফিকস ও কাস্টম রিপোর্ট এক ক্লিকে তৈরি করা যায়। বড় ডেটা বা কমপ্লেক্স ইনফরমেশন সহজে ভিজ্যুয়ালাইজ করতে চাইলে NotebookLM-এর এই ফিচারগুলো দারুণ কাজে দেয়।
সংক্ষেপে NotebookLM-এর সুবিধাসমূহ:
- AI-powered research tool হিসেবে দ্রুত ও নির্ভুল রিসার্চ
- Google Workspace ইন্টিগ্রেশন
- ৩০০ সোর্স পর্যন্ত সংযুক্তি
- ২৯-পৃষ্ঠার রিপোর্ট → ২-পৃষ্ঠার ব্রিফিং ডক
- অডিও ওভারভিউ, কুইজ, ফ্ল্যাশকার্ড, ইনফোগ্রাফিকস
- Source-based উত্তর, কম ভুল তথ্য
সব মিলিয়ে, গবেষণা ও লার্নিং-এর জন্য NotebookLM এখন আমার নিত্যসঙ্গী AI সহায়ক এবং রিসার্চ পার্টনার।
কাজে গতি বাড়ানোর গোপন অস্ত্র: কাস্টম GPT আর Chatbot
কাস্টম GPT: এক ক্লিকে ইউটিউব ট্রান্সক্রিপশন থেকে ভিডিও বর্ণনা
আমার প্রতিদিনের কাজের তালিকায় custom GPT এখন অপরিহার্য। ২০২৩ সাল থেকে ব্যবহার করছি, এবং সত্যি বলতে, "কাস্টম GPT ছাড়া আজকাল একদিনও চলে না—সিগনেচার টুল বলতে পারেন!"। আমার জন্য সবচেয়ে বেশি সময় বাঁচানো ফিচার হচ্ছে ইউটিউব ভিডিওর ট্রান্সক্রিপশন থেকে এক ক্লিকে ভিডিও বর্ণনা তৈরি। আগে যেখানে প্রতিটি ভিডিওর জন্য ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগত, এখন কাস্টম GPT-এর জন্য সেটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার।
ব্যবহারটা খুবই সহজ—ইউটিউব থেকে ট্রান্সক্রিপশন কপি করে কাস্টম GPT-তে পেস্ট করি, কোনো প্রম্পট লেখার দরকার নেই। শুধু পেস্ট আর এন্টার। সাথে সাথে ভিডিওর জন্য সুন্দর, সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক বর্ণনা চলে আসে। এই custom report generation ফিচার আমাকে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।
আরও ভালো লাগে, যখন দরকার পড়ে, আমি Edit GPT অপশনে গিয়ে এক লাইনে কাস্টম ইনস্ট্রাকশন যোগ করতে পারি। ফলে, আমার চাহিদা অনুযায়ী AI টুলটি আরও নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারে। Collaboration and sharing ফিচারও দুর্দান্ত—team plan ব্যবহার করে আমি আমার টিমের সবার জন্য কাস্টম GPT শেয়ার করতে পারি। চাইলে কিছু GPT পাবলিক করেও শেয়ার করা যায়, যেমন ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে।
Chatbase: তথ্যভিত্তিক কাস্টম AI-Powered Research Tool
AI chat modes আর source-based answers নিয়ে কাজ করতে গেলে Chatbase আমার অন্যতম পছন্দের টুল। এখানে আমি ডকুমেন্ট, ওয়েবসাইট, Q&A, এমনকি Notion ডকুমেন্টও আপলোড করতে পারি। Chatbase-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে—এটা দিয়ে নিজের ওয়েবসাইট বা টিমের জন্য তথ্যভিত্তিক কাস্টম চ্যাটবট তৈরি করা যায়।
যেমন, আমি চাইলে আমার ওয়েবসাইটে Chatbase বট এম্বেড করতে পারি, যেখানে ভিজিটররা সরাসরি প্রশ্ন করতে পারে এবং AI তাদের আমার নির্দিষ্ট ডকুমেন্টেশন বা সোর্স থেকে উত্তর দেয়। Collaboration features হিসেবে, টিমের সবাই একই চ্যাটবট ব্যবহার করতে পারে, ফলে তথ্যের ভিন্নতা থাকে না।
Chatbase-এর customization অপশনও চমৎকার—কোন AI মডেল (ChatGPT, Claude, Gemini, Llama ইত্যাদি) ব্যবহার করব, সেটাও বেছে নিতে পারি। চ্যাট ইন্টারফেস, আইকন, এমনকি বটের আচরণও নিজের মতো করে সাজানো যায়। Custom report generation ও AI-powered research tool হিসেবে Chatbase কাস্টম পদক্ষেপ ও ইন্টিগ্রেশন প্ল্যাটফর্ম-উপযোগী, যা আমার মতো কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দারুণ সহায়ক।
ইন্টারকম ও অন্যান্য AI চ্যাটবট: কাস্টমার সার্ভিস ও টিম প্রশিক্ষণে সহজপাঠ্য সমাধান
AI chat modes নিয়ে কাজ করতে গেলে শুধু Chatbase-ই নয়, Intercom বা Charged AI-এর মতো চ্যাটবটও কাজে আসে। Intercom-এর বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে লাইভ এজেন্ট হস্তক্ষেপের সুযোগ আছে। অর্থাৎ, যখনই AI উত্তর দিতে পারে না, তখন রিয়েল এজেন্ট চ্যাটে যুক্ত হতে পারেন।
এছাড়া, ইন্টারকমের মাধ্যমে custom report generation, lead generation, এমনকি ক্যালেন্ডার ইন্টিগ্রেশনও সম্ভব। ফলে, কাস্টমার সার্ভিস থেকে শুরু করে টিম প্রশিক্ষণ—সবকিছুই এক প্ল্যাটফর্মে সহজে ম্যানেজ করা যায়।
- Custom report generation: দ্রুত ও নির্ভুল রিপোর্ট তৈরি
- AI-powered research tool: সোর্স-ভিত্তিক উত্তর ও তথ্য বিশ্লেষণ
- Collaboration and sharing: টিমের মধ্যে সহজ তথ্য বিনিময়
- AI chat modes: গ্রাহক ও টিমের জন্য আলাদা চ্যাট ইন্টারফেস
- Source-based answers: নির্ভরযোগ্য ও আপডেটেড তথ্য প্রদান
- Collaboration features: একাধিক টিম মেম্বার একসাথে কাজ করতে পারা
সব মিলিয়ে, কাস্টম GPT, Chatbase, আর Intercom-এর মতো চ্যাটবটগুলো আমার কাজের গতি বাড়ানোর গোপন অস্ত্র। এগুলো ছাড়া এখন আর আধুনিক কনটেন্ট বা রিসার্চ ওয়ার্ক কল্পনাই করা যায় না।
এক্সট্রা পাওয়ার: ড্যাশবোর্ড বিশ্লেষণ, ভিডিও টিউটোরিয়াল, আর ক্রিয়েটিভ প্রেজেন্টেশন
AI-powered research tool গুলো এখন শুধু ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ বা Google Workspace integration-এ সীমাবদ্ধ নেই। আমার অভিজ্ঞতায়, প্রেজেন্টেশন, ড্যাশবোর্ড, আর ইন্টারেক্টিভ লার্নিং টুলসের ক্ষেত্রে AI সত্যিই এক্সট্রা পাওয়ার এনে দিয়েছে। আগে যেখানে একটি প্রেজেন্টেশন বানাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগে যেত, এখন AI-এর সাহায্যে কয়েক মিনিটেই আকর্ষণীয়, ভিজ্যুয়াল, আর স্টোরিটেলিং-ভিত্তিক কনটেন্ট তৈরি করা যায়।
Prezi AI: ওপেন ক্যানভাস, স্টোরিটেলিং আর ভিজ্যুয়াল ষ্টাইল
প্রেজেন্টেশন মানেই কি স্লাইড-বাই-স্লাইড পুরনো ফরম্যাট? Prezi AI এই ধারণা বদলে দিয়েছে। ১৫ বছর ধরে জনপ্রিয় Prezi-এর ১৬০ মিলিয়ন ইউজার আছে, আর এখন AI ইন্টিগ্রেশনে এটি আরও শক্তিশালী। শুধু একটি টেক্সট প্রম্পট বা PDF আপলোড করলেই Prezi AI ওপেন ক্যানভাস ফরম্যাটে পুরো প্রেজেন্টেশন তৈরি করে দেয়। এই ফরম্যাটে আপনি পুরো ক্যানভাসে গল্পের মতো তথ্য সাজাতে পারবেন, যা সাধারণ স্লাইডের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় ও ইন্টারেক্টিভ।
আমি যখন আমার মার্কেটিং টিমের জন্য "AI দিয়ে লিড জেনারেশন" নিয়ে প্রেজেন্টেশন বানাচ্ছিলাম, Prezi AI-র ওপেন ক্যানভাস স্টাইল আমাকে একদম নতুন অভিজ্ঞতা দিয়েছে। শুধু টাইটেল, কিছু কীওয়ার্ড আর ডকুমেন্ট দিলেই AI পুরো ভিজ্যুয়াল ফ্লো সাজিয়ে দেয়। চাইলে সহজেই এডিট, ইমেজ রিমুভ/ক্রপ, AI-ভিত্তিক টেক্সট সাজানো—সবই করা যায়। শেষে এক ক্লিকে প্রেজেন্ট, শেয়ার বা PDF ডাউনলোড—সবকিছুই সহজ।
Claude AI: ড্যাশবোর্ড বিশ্লেষণ, পাই চার্ট, আর লাইটমোড
ড্যাশবোর্ড বিশ্লেষণ বা Google Analytics-এর মতো ডেটা আগে আমার কাছে একটু জটিলই মনে হতো। কিন্তু Claude AI এখন এই কাজটা ম্যাজিকের মতো সহজ করে দিয়েছে। শুধু ড্যাশবোর্ডের স্ক্রিনশট বা ডেটা আপলোড করলেই Claude AI নিজে থেকেই ভিজ্যুয়াল ড্যাশবোর্ড, পাই চার্ট, টেবিল—সবকিছু সাজিয়ে দেয়। চাইলে লাইটমোড, টেবিলের অবস্থান, বা নির্দিষ্ট কোনো ডেটা বাদ—সবকিছুই কাস্টমাইজ করা যায়।
"বিভিন্ন ড্যাশবোর্ড অথবা বিশ্লেষণ, আগে মাথা গুলো গুলিয়ে যেত! এখন AI-র ড্যাশবোর্ড ডেইলি লাইফে ম্যাজিক এনেছে"
এখন আমি সহজেই টিমের সাথে লিঙ্ক শেয়ার করতে পারি, বা প্রেজেন্টেশনে ড্যাশবোর্ড এম্বেড করতে পারি। Training and onboarding-এর জন্যও এই ধরনের ইন্টারেক্টিভ লার্নিং টুলস দারুণ কাজে আসে।
Guide ও Loom: স্ক্রিনক্যাপচার টিউটোরিয়াল, অটো-স্টেপ, AI ভয়েসওভার
ইন্টারনাল ট্রেনিং বা কাস্টমার অনবোর্ডিং-এর জন্য ভিডিও টিউটোরিয়াল এখন অনেক সহজ। Guide এবং Loom-এর মতো টুল দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ডিং, অটো-স্টেপ জেনারেশন, আর AI ভয়েসওভার—সবকিছুই এক প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়। Guide-এ আমি মাত্র ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে পুরো টিউটোরিয়াল বানাতে পারি, যেখানে আগে প্রতিটি স্ক্রিনশট, অ্যারো, টেক্সট আলাদা করে বানাতে হতো।
Guide-এর AI-powered research tool হিসেবে অটো-স্টেপ জেনারেশন, ফ্ল্যাশকার্ড ও কুইজ, অডিও ওভারভিউ—সবকিছুই ট্রেনিং এবং অনবোর্ডিং-এ সময় ও উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেয়। Loom-ও একইভাবে স্ক্রিনক্যাপচার ও AI-ভিত্তিক ট্রান্সক্রিপশন, হাইলাইট, এবং শেয়ারিং সহজ করে দিয়েছে।
উপসংহার: AI-র এক্সট্রা পাওয়ার—প্রেজেন্টেশন, বিশ্লেষণ, ও ট্রেনিংয়ে নতুন যুগ
AI-powered research tool, Google Workspace integration, আর ইন্টারেক্টিভ লার্নিং টুলস—সব মিলিয়ে এখন কাজের ধরনই বদলে গেছে। Prezi AI, Claude, Guide, Loom-এর মতো টুল দিয়ে ড্যাশবোর্ড, প্রেজেন্টেশন, আর ট্রেনিং ভিডিও তৈরি করা এখন অনেক দ্রুত, সহজ ও আকর্ষণীয়। ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ, ফ্ল্যাশকার্ড ও কুইজ, অডিও ওভারভিউ—সবকিছুই এখন এক ক্লিকে।
আমার অভিজ্ঞতায়, AI শুধু সহায়ক নয়, বরং রিসার্চ ও প্রেজেন্টেশনের সুপারহিরো। যারা এখনো এই টুলগুলো ব্যবহার করেননি, তাদের জন্য বলব—একবার ব্যবহার করলেই বুঝবেন, সময়-উৎ্পাদনশীলতা আর ক্রিয়েটিভিটির নতুন দরজা খুলে যাবে।
TL;DR: AI-ভিত্তিক টুল যেমন NotebookLM, Google Gemini, ও Prezi AI—সবগুলো মিলিয়ে আমার প্রোডাক্টিভিটি কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। নতুন কিছু ট্রাই করলে, সময় বাঁচানো এবং রিসার্চে গভীরতা—দুটোই পাওয়া যায়।



